নিউজ ডেস্ক ঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সরকারি গাড়ি ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহার করছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃমীর কাউসার হোসেন।
জানাযায়, অসুস্থ গরু-ছাগলকে জরুরি চিকিৎসা দিতে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বা এমভিসি (ভ্রাম্যমাণ প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিক) গাড়ি কেনা হয়েছে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়। সরকার এলডিপি প্রকল্পের আওতায় অনেক উপজেলায় এসব গাড়ী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর এসব সরকারি গাড়ি কর্মকর্তার নিজ কাজেই বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণ জানান, সাইরেন বাজিয়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের এই গাড়ীটি প্রতিদিন তিনটার কিছু আগে অনুশীলনী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। স্কুল ছুটি হওয়ার পর উপজেলা পশু হাসপাতালের ডাক্তার সাহেবের বাচ্চাকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে বিকট শব্দে সাইরেন বাজিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে ওই স্কুলে পড়তে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর গার্জেন বলেন, এটা যে কোন অফিসের গাড়ী বুঝতে পারিনা। তবে ওই গাড়ীতে ভেটেরিনারি হাসপাতাল লিখা আছে তাতে মনে হচ্ছে পশু হাসপাতালের গাড়ী। স্কুলের সামনে প্রতিদিন আসে এসে ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট দাড়িয়ে থাকে সে সময় ইন্জিন চালু রাখে। গাড়ী থেকে কেউ নামে না গরমের কারনে মনে হয় এসিও চালাই স্কুল ছুটি হলে একটি বাচ্চাকে ড্রাইভার তুলে নিয়ে চলে যায়।
অনুসন্ধানে জানাযায়, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ৩ টার সময় হাসপাতালের গাড়িটি বিদ্যালয়ের সামনে এসে থামে। তারপর গাড়ির চালক স্কুল থেকে বের হওয়া স্কুল ড্রেস পরিহিত এক বাচ্চাকে গাড়ীতে তুলে নেয় এবং দ্রুত সেই স্হান ত্যাগ করে। এব্যাপারে ড্রাইভার কমলের সাথে মুঠো ফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃমীর কাউসার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি একটা কাজে গিয়েছিলাম আসার সময় বাচ্চাকে তুলে নিয়ে আসি।
বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ কাজী আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই গাড়ি মুলত অসুস্থ প্রাণীদের চিকিৎসা করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে । তারপরও একজন কর্মকর্তাকে যেহেতু দিয়েছে সে তার ব্যাক্তিগত কাজেতো ব্যাবহার করতে পারে।
No comments:
Post a Comment