নিউজ ডেক্সঃ সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের কামালপুর ও ইচামারা গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন আগে সেখানে যমুনা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গনে কয়েকটি বসতবাড়ি জায়গা জমি সহ বাড়িঘর সম্পূর্ণ যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে ওই এলাকার আশেপাশের লোকজন তাদের বাড়িঘর ও মালামল অন্যত্বে সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকে । পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটারসহ তার খুলে নিয়ে আসে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করে।
যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় এবং নদী ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ থাকায় অনেক পরিবার আবার সেখানে ফিরে এসে এখন তাদের বসতি স্থাপন করছেন। বসবাসযোগ্য করতে বাড়িঘর মেরামতের কাজ করছেন ঐসব পরিবার। ফিরে আশা পরিবারগুলো তাদের বাড়িতে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চায় । বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে টাকা নেওয়ার কথা না থাকলেও ৫০০- ৭০০ টাকা নিয়ে কয়েকটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। একদিকে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সরকারি ও বেসরকারিভাবে সাহায্য অব্যাহত আছে। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিকট থেকে পল্লী বিদ্যুতের নাম ভাঙ্গিয়ে কৌশলে টাকা উত্তোলন করায় ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কূমার বসাক জানতে পারেন। তৎক্ষণাৎ তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বগুড়া-২ সারিয়াকান্দি জোনাল অফিসের ডিজিএম শফিউদ্দিন আহমেদকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সোমবার রাতেই উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তরফদারের নেতৃত্বে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা পায় ।
পল্লী বিদ্যুতের নাম ভাঙ্গিয়ে ঐ এলাকার ফল্টু নামে এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করে খুঁজে বের করা হয়। অবশেষে ওই ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা উদ্ধার করে যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল তাদেরকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তরফদার।
No comments:
Post a Comment