বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাছিরপাড়া ও দেবডাঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন বাঙালি নদী থেকে ৫ বছর বয়সী ১ কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। নিহত কন্যা শিশুর নাম হালিমা খাতুন(০৫), সে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোরগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া সরজনপাড়া এলাকার হালিম মোল্লার মেয়ে। এলাকাবাসী জানান, রবিবার সকালে বাঙালি নদীর তীরে ভেসে আসা মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
এ বিষয়ে মোঃ আব্দুল হান্নান মোল্লা জানান, আমার ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (০৭) ও মেয়ে হালিমা খাতুন (০৫) নদীর ধারে খেলাধুলা করিতেছিল। আমার মেয়ে নদী হইতে পানি খেতে চাহিলে আমার ছেলে তাকে পানি না দিয়ে বাড়ীতে লইয়া পানি দিবে বলিয়া জানাইলে আমার মেয়ে কান্নাকাটি করিয়া নদীর পানি একাই তুলে খাওয়ার চেষ্টা করে এবং নদীর ধারে বসে কান্না করিতে থাকে। আমার ছেলে তাকে রেখে বাড়ীতে চলিয়া যায়। আমার মাতা মনে করে আমার ছেলে মেয়ে বাড়ীতে গিয়াছে। আমার মাতাও ভেড়া নিয়ে বাড়ীতে চলিয়া যায়। আমার ছেলেকে হালিমার কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে বলে যে, হালিমা নদীর ধারে নদীর পানি খাওয়ার চেষ্টা করিতেছে এবং কান্না করিতেছে। তখন আমার মেয়েকে খোঁজার জন্য নদীর ধারে যাই এবং খোঁজাখুজি করিতে থাকি। কিন্তু আশে পাশে কোথাও খুজিয়া না পাইয়া জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করিলে সোনাতলা থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এর ডুবরী দল আসিয়া নদীর পানিতে আমার মেয়েকে খোঁজাখুজি করিতে থাকে। কিন্তু আমার মেয়েকে খুজে পাওয়া যায় নাই। ইং ২৮/০৯/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার দিকে লোকমুখে জানিতে পারি যে, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানাধীন দেবডাঙ্গা কাজলপাড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন বাঙ্গালী নদীতে একটি মেয়ে শিশু বাচ্চার মৃত দেহ ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন গোসল করতে গিয়া শিশু বাচ্চার মৃত দেহ পানি হইতে ঈদগাহ মাঠে তুলে রেখেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া আমি ও আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে লইয়া উক্ত তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার দিকে উক্ত স্থানে আসিয়া আমার মেয়ের মৃত দেহ উত্তর শিউরী শায়িত অবস্থায় দেখিয়া সনাক্ত করি। পরে পুলিশ মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
No comments:
Post a Comment