সারিয়াকান্দিতে ঘুষের অভিযোগে ২ অফিসারসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ওই থানার দুই কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বগুড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে গাবতলী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যাহার পুলিশ সদস্যরা হলেন সারিয়াকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিরুল ইসলাম, কনস্টেবল খোকন চন্দ্র ও জাহিদুল ইসলাম।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার সীমানা এলাকায় জোড়গাছা ইউনিয়নের গনসার পাড়া গ্রামের টহলে ছিলেন ওই চার পুলিশ। তারা স্থানীয় একটি হত্যা মামলার আসামীকেও খোঁজ করছিলেন। এর মধ্যে ওই গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে চৈতা মিয়াকে (২৫) সন্দেহ হয় তাদের। পুলিশ সদস্যরা তাকে নিয়ে আসতে চাইলে তিনি সরকারের একজন সচিবের আত্মীয় বলে নিজেকে পরিচয় দেন। পরে পুলিশ চৈতাকে আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ছোট একটি চাকু পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে চৈতাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে তার মায়ের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে চৈতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে বিষয়টি সারিয়াকান্দি থানাসহ সার্কেল কার্যালয়কে জানানো হয়। পরে ওই রাতের সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল আমিন নিজেই ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। বগুড়ার গাবতলী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সরেজমিন তদন্ত করে চৈতা মিয়ার মায়ের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকে সারিয়াকান্দি থানা থেকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত হবে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Wednesday, 10 June 2020
Home
Unlabelled
সারিয়াকান্দিতে ঘুষের অভিযোগে ২ অফিসারসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার
সারিয়াকান্দিতে ঘুষের অভিযোগে ২ অফিসারসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
Ut wisi enim ad minim veniam, quis nostrud exerci tation ullamcorper suscipit lobortis nisl ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis autem vel eum iriure dolor in hendrerit in vulputate velit esse molestie consequat.
No comments:
Post a Comment