সুমন কুমার সাহা, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের গরুর হাটে ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মডেল পশু জবাই খানার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় ফুলবাড়ি মডেল জবাই খানা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ, উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডাঃ শাহ আলম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র পরিচালক (গাক) ড.মোঃ মাহবুব আলম। সে সময় গাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্থানীয় শাখার সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বর্তমানে ফুলবাড়িতে যে কসাইখানা রয়েছে তা একেবারে মান্ধতা আমলের। সেখানে আবাসিক এলাকা হওয়ার সত্ত্বেও খোলা জায়গায় পশু জবাই করা সহ মাংস কাটার যাবতীয় কার্যক্রম করা হয়। এমনকি গরু-ছাগলের বর্জ্য খোলা জায়গায় ফেলে রাখার কারণে দুর্গন্ধ ছড়ায় ফুলবাড়ি এলাকায়। পাশাপাশি এই কসাইখানার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানেই নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই মডেল জবাই খানা।
নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পন্যর বাজার উন্নয়ন শীর্ষক ভ্যালু চেইন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)। এটি (গাক) এনজিও সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা নামের উদ্যোক্তার দারা পরিচালিত হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.শাহ আলম জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়িতে পুরাতন কসাইখানার জায়গায় নতুন ও মডেল জবাই খানা উদ্বোধন করা হলো। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ও এমনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় থাকবে উন্নত ব্যবস্থাপনা। এর বিপরীতে পশুর বর্জ্য থেকে হবে জৈব সার।
উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ বলেন, আগের যে কসাইখানাটি রয়েছে তাতে এলাকার পরিবেশ দূষণের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। যুগ যুগ ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল ফুলবাড়ি কসাই খানাটি। সেখানেই মডেল জবাই খানা নির্মাণ করা একটি পরিকল্পিত সমাধান। আধুনিক কসাইখানায় সকল বর্জ্য অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে রিসাইকেল করে জৈব সার তৈরি করা হবে। গাকের এমন উদ্যোগ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, গাক এনজিও যে মডেল জবাই খানা তৈরী করেছে তা পরিবেশ বান্ধব ও সমাজের জন্য ভালো উদ্যোগ। এই ইউনিয়নের সকল পশু একটি জায়গায় জবাই হবে। এতে কোনো রকম পরিবেশ দূষণ হবে না। এটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব। এই জবাই খানায় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে যা একটি পশু জবাই করার জন্য প্রয়োজন। এই জবাই খানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ রেখে পশুজবাই করা যাবে।
No comments:
Post a Comment