দেশে লকডাউনের পরিবর্তে আসছে এই ১০টি বিধি-নিষেধ
নতুন করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিসেম্বর নাগাদ করোনার প্রকোপ এবং মৃত্যু দুটোই বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মানা, বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ডিসেম্বরে করোনার প্রকোপ বাড়লে সরকারের করণীয় নিয়ে এখন দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এনিয়ে তার কার্যালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলেছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, এখন পর্যন্ত সরকার লকডাউন নিয়ে ভাবছে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন ‘বিশ্বব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর, যে সব দেশ লকডাউন দিয়েছে, তারা সফল হয়নি। জনগন এখন লকডাউন কিছুতেই মানছে না। তাই সরকার লকডাউনের পথে হাটতে চাইছে না। বরং করোনার প্রকোপের মাত্রা অনুযায়ী সরকার ধাপে ধাপে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করতে চাইছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন,
পরিস্থিতি অনুযায়ী ধাপে ধাপে আমরা ১০টি বিধি নি’ষে’ধ আ’রো’পের কথা ভাবছি। এগুলো হলো: ১.মাস্ক ব্যবহারে আইন প্রয়োগ। জনগন যেন ঘর থেকে বেরুলে মাস্ক ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করা। ২.গণপরিবহনে আবার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। শুরুতে যে অর্ধেক আসন খালি রাখার বিধান ছিলো তা পুনরায় চালু করা। ৩.বাজার হাট সীমিত করা। বাজার হাটের সময় সীমা কমিয়ে আনা এবং সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। ৪.শপিং মলে স্বাস্থ্য বিধি মানা। প্রতিটি শপিং মলে স্বাস্থ্য বিধি মানা এবং তাপমাত্রা মাপার বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা করা। ৫.পর্যটন কেন্দ্র গুলো সীমিত করা। করোনার প্রকোপ বাড়লে পর্যটন কেন্দ্র গুলো সীমিত করা যেতে পারে। ৬.বিয়ের অনুষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠানে লোক সমাগম সীমিত করা। ৭.বিমান বন্দরে বিদেশ প্রত্যগত দের তালিকা করা এবং তাদের হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা। ৮.হোটেল রেস্টুরেন্ট সীমিত করা। হোটেল রেস্টুরেন্ট গুলোর আসন ব্যবস্থা সীমিত করা। খোলার সময় কমিয়ে আনা। ৯.মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন। ১০.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতকালীন সময়ে বন্ধ অব্যাহত রাখা। জানা গেছে, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ধাপে ধাপে প্রয়োজনে আরো বিধি নিষেধ আরোপ করা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment