সারিয়াকান্দিতে নদী ভাঙনে ২০ মিঃ এলাকায় ধ্বস- ১৫০ টি বসতি আতঙ্কে
নিউজ ডেস্ক ঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে । মঙ্গলবার রাত তিনটা থেকে উপজেলা কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের দেবডাঙ্গা গ্রামের ঈদগাহ মাঠে পাসে বাঙালি নদীর তীরে রক্ষা বাঁধের ২০ মিটার নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে নদীর তীরে অবস্থিত ১৫০ টি পরিবার নদী ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন । পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায় এই উপজেলায় বাঙালি নাদীর ৮ টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ৩ টি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সদর ইউনিয়নের চান্দিনা নোয়াপাড়া ১ কিলোমিটার নদী ভাঙনে ৫'শ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
কুতুবপুর ইউনিয়নের চরমাছির পাড়া গ্রামে বাঙ্গালী নদী ১কিঃ মিঃ ভাঙনে গাছপালা, ঘর -বাড়ী, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পরেছে,চরমাছির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ,মাদ্রাসা, কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ।
কুতুবপুর ইউনিয়নের মাছিরপাড়া গ্রামের ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে বাঙালি নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে এবং পারতিত পরল গ্রামের বিশাল এলাকাজুড়ে ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।
গত সোমবার বাঙালি নারীর পানির সমতল ছিল ১৩.৯৫ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৩.৯০ সেন্টিমিটার। পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে সোমবার সকাল ৯ টায় উচ্চতা ছিল ১৪.১৩ মিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৪.২০ মিটার। ২৪ ঘন্টা যমুনার পানি বেরেছে ৭ মিটার ।
রজিনা বেগম জানান, গত সোমবার রাত ৩ টার দিকে শোশো শব্দে বাড়ির বাইরে এসে তিনি দেখেন তার বাড়ির একাংশ বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে। তীর সংরক্ষণ কাজের ব্লকগুলো ধ্বসে গেছে। তার পুরো বাড়ি যেকোনও সময় বাঙালি নদীতে বিলীন হতে পারে। রজিনা বেগম গত ২০১৩ সাল পর্যন্ত গার্মেন্টসের চাকুরি করতেন। ২০০৬ সালে আনোয়ার হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী আনোয়ার হোসেন বেশ কয়েকবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছেন। সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ভিশনের কাজল প্রকল্পের আওতায় ২ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হয়ে তিনি দেবডাঙ্গা গ্রামের বাঙালি নদীর তীরে বসবাস শুরু করেছেন। তার শেষ সম্বলটুকুও বাঙালি নদীতে বিলীন হতে চলেছে। এ শেষ সম্বলটুকু যদি নদীতে ভেঙে যায় তাহলে আমরা কোথায় যাব?
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment